বরাবর,
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়
শেরে বাংলা নগর, ঢাকা।

বিষয়ঃ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন।

মহোদয়,
সম্মান পূর্বক পূর্বক নিবেদন এই যে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা “মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা” এর নিয়োগকৃত পর্যবেক্ষণগণ স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আচরণবিধি ও নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৮ অনুসারে পৌরসভা নির্বাচন’২০১৫ নির্বাচন পর্যবেক্ষদের প্রদেয় রির্পোটের আলোকে পর্যবেক্ষণ সংস্থা “মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস” কর্তৃক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে আপনার সদয় বিবেচনার জন্য প্রেরন করা হল। উল্লেখ্য, “মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস” গত ৩০/১২/২০১৫ ইং তারিখ অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছে। নির্বাচন কমিশনের সহযোগীতা পেলে “মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস” নির্বাচন সমূহের সুষ্ঠ, স্বচ্ছ ও গ্রহনযোগ্য একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপহার দিতে সক্ষম হবে।

ধন্যবাদান্তে
(ড. মোঃ গোলাম রহমান ভুঁইয়া)
চেয়ারম্যান
মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস

সদয় অবগতি:
১। নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা।
২। সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়,ঢাকা।
৩। যুগ্ম সচিব (নির্বাচন) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা।
৪। জনসংযোগ কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা।
৫। জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার-সংশ্লিষ্ট জেলা সমুহ।
৬। পুলিশ সুপার-সংশ্লিস্ট জেলা সমুহ।
৭। জেলা নির্বাচন অফিসার-সংশ্লিষ্ট জেলা সমুহ।
৮। নির্বাহী প্রধান, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত সকল পর্যবেক্ষক সংস্থা ও দাতা সংস্থা সমূহ।

মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস
পৌরসভা নির্বাচন -২০১৫

ঢাকা জেলার সাভার, ধামরাই , মানিকগঞ্জ সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর,নাচোল,বরিশাল সদর, রাজশাহীর গোদাবাড়ী, খুলনা সদর, সিরাজগঞ্জ সদর, কুমিল্লা সদর, চাঁদপুর সদর, চট্রগ্রাম সদর, দিনাজপুর সদর, পাবনা সদর, বেড়া, গাইবান্ধা সদর, বগুড়া সদর, ব্রা²নবাড়ীয়া সদর,রাঙ্গামাটি সদর পৌরসভা নির্বাচন ।

নির্বাচন -২০১৫

মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস
Manobadhikar O Samaj Unnayan Sangstha-Mosus
(Human rights & Social Development Association)
Contact Office: Room No. 210, (1st Floor), Ibrahim Mansion, 11, Purana Paltan, Dhaka. Office: 16/A, Court House Street, Lavel-2, Dhaka-1100, Mobile: 01911-343062, Phone: 7115472, 9674968, E-mail: manobadhikarosamaj@gmail.com, bhuiyangolamrahman@gmail.com

সূচীপত্রঃ

বিষয় 

  • Preliminary Assessment
  • ভূমিকাঃ
  • পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে
  • মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার পরিচিতি
  • পর্যবেক্ষনকৃত সিটি কর্পোরেশনসমুহের সাধারন তথ্য
  • নির্বাচনী বিধি পর্যালোচনা
  • পৌরসভা নির্বাচনের ফল বিশ্লেষন
  • অনিয়ম সমুহ ও সমস্যাসমুহ
  • ভোটার অংশগ্রহন
  • মহিলা ভোটার ও প্রতিবন্ধী ভোটার
  • সংখ্যালঘু সম্প্রদায়
  • নির্বাচন কমিশন
  • মাঠ প্রশাসন
  • প্রার্থীদের এজেন্ট
  • মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা এর সুপারিশ সমূহ
  • পৌরসভা নির্বাচন পর্যবেক্ষনের সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন (জবঢ়ড়ৎঃ)
  • উপসংহার
  • সংযুক্ত ছবি ও পর্যবেক্ষন ফরম

PRELIMINARY ASSESSMENT
POROSABA ELECTION-2015
December, 30,2015

Manobadhiker o samaj Unnayan Sangstha-MOSUS is a non political, non profit, Human rights development, legal service, voluntary social welfare, social Development, Tourist association for conservation of natural and environmental and Election observation and as part of its mission observes, reports and analysis the overall Election, which is established in 1995 in Dhaka, the capital of Bangladesh.
The election was Satisfactory and peaceful without some incident like controversial role of few polling officer, candidates, agents during Election Day.

The numbers of women vote cast were increased. This election reflected the universal rights of franchises of people. The huge number of local observer’s presence gave importance of the election to promote democracy. Army deployment essential for each election in future.

Election observers should work from beginning of election campaign. We look forward from election commission for better work in future election cause of our country democracy.

(Dr. Md. Golam Rahaman Bhuiyan)
Chairman
Manobadhikar o Samaj Unnayan Sangstha-MOSUS

মানবাধিকার সমাজ উন্নয়ন সংস্থামওসুস
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন২০১৫

ঢাকা জেলার সাভার, ধামরাই , মানিকগঞ্জ সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর,নাচোল,বরিশাল সদর, রাজশাহীর গোদাবাড়ী, খুলনা সদর, সিরাজগঞ্জ সদর, কুমিল্লা সদর, চাঁদপুর সদর, চট্রগ্রাম সদর, দিনাজপুর সদর, পাবনা সদর, বেড়া, গাইবান্ধা সদর, বগুড়া সদর, ব্রা²নবাড়ীয়া সদর,রাঙ্গামাটি সদর পৌরসভা নির্বাচন।

পর্যবেক্ষক সংস্থামওসুস কর্তৃক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন

ভূমিকাঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এর সপ্তম ভাগে ১১৮ অনুচ্ছেদ থেকে ১২৬ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত কমিশন প্রতিষ্ঠা, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়, নির্বাচন সম্পর্কে সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা, নির্বাচনী আইন ও নির্বাচনের বৈধতা এবং নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সহায়তাদান সংক্রান্ত মৌলিক আইনগত বিভিন্ন বিষয় লিপিবদ্ধ রয়েছে। উক্ত মৌলিক বিধানের আওতায় গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে স্থানীয় পর্যবেক্ষকের জন্য একটি নীতিমালা ও আচরণবিধি প্রণয়ন করেছে। মুলতঃ অবাধ, সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে নির্বাচনে স্বচ্ছতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের নিয়োগ ও মোতায়েন করেণ।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যঃ

১। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দক্ষতা সম্পর্কে অবহিত হওয়া যেন ভবিষ্যতে চিহ্নিত ক্রটি বিচ্যুতি সমূহ সংশোধন করা যায়। নির্বাচনী পরিবেশ এবং ব্যবস্থাপনাসহ সমগ্র নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট সবকিছুই দেখা ও তথ্য সংগ্রহ করা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের মূল কাজ।

২। কতটা স্বচ্ছ ও অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং কোন ক্রটি বিচ্যুতি সংঘটিত হয়ে থাকলে, সে সম্পর্কে জানা।

–স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং সততার সাথে নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা সমর্থন করার দায়িত্ব পালনে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহনকারী সকলের জন্য সম-ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস” কর্তৃক নিয়োগকৃত পর্যবেক্ষকদের ঊছ-৪ ফরমে প্রদত্ত প্রতিবেদন।

মানবাধিকার সমাজ উন্নয়ন সংস্থামওসুস’’ পরিচিতঃ

মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষনার আদর্শের উপর ভিক্তি করে প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক, সমষ্টি কেন্দ্রিক (ঈড়সসঁহরঃু পবহঃবৎবফ) মানবাধিকার সংরক্ষণ, প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ন, অসহায় নারী, ও শিশু, যুব উন্নয়ন,আইনী গবেষনাকর্ম, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষন, পরিবেশ উন্নয়ন, সমাজ উন্নয়ন  সাহায্য, শালিশী মীমাংসা, মানবাধিকার শিক্ষা ও আর্থ সামাজিক উন্নয়ন মূলক, জনকল্যানধর্মী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান-মওসুস বাংলাদেশের অন্যতম নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্লাটফর্ম নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবহিতা নিশ্চিত করন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জোরদার করার লক্ষে “মওসুস” প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মওসুস নির্বাচন কমিশনর তালিকাভুক্ত পর্যবেক্ষণ সংগঠন।

“মওসুস” কিছু অবশ্য পালনীয় আচরণবিধির (পড়ফব ড়ভ পড়হফঁপঃ) দ্বারা পরিচালিত হয়ে সারা দেশে ব্যাপক-ভিত্তিক নির্বাচন পর্যাবেক্ষণ করে থাকে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মওসুস জাতীয় সংসদ, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে এডভোকেসি, নির্বাচনী ব্যবস্থার অধিকতর উন্নয়নে মতামত প্রদান করে আসছে।

মওসুস কতৃক পৌরসভা নির্বাচন পর্যবেক্ষণঃ

নির্বাচন কমিশন ২৩৪টি পৌরসভা নির্বাচনের  তপসিল ঘোষনা করে। এই সংস্থা ২০টি পৌরসভা যেমন- ঢাকা জেলার সাভার, ধামরাই , মানিকগঞ্জ সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর,নাচোল,বরিশাল সদর, রাজশাহীর গোদাবাড়ী, খুলনা সদর, সিরাজগঞ্জ সদর, কুমিল্লা সদর, চাঁদপুর সদর, চট্রগ্রাম সদর, দিনাজপুর সদর, পাবনা সদর, বেড়া, গাইবান্ধা সদর, বগুড়া সদর, ব্রা²নবাড়ীয়া সদর,রাঙ্গামাটি সদর পৌরসভা সমুহে নির্বাচন নির্বাচনের দিন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে। ভ্রাম্যমান ২০টি টীমে ৫জন করে পর্যবেক্ষক সফলতার সাথে পর্যবেক্ষণ সমাপ্ত করে এই রিপোর্ট প্রদান করে।

পর্যবেক্ষণকৃত সিটি কর্পোরেশন সমুহের সাধারণ তথ্যঃ

ঢাকা জেলার সাভার, ধামরাই , মানিকগঞ্জ সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর,নাচোল,বরিশাল সদর, রাজশাহীর গোদাবাড়ী, খুলনা সদর, সিরাজগঞ্জ সদর, কুমিল্লা সদর, চাঁদপুর সদর, চট্রগ্রাম সদর, দিনাজপুর সদর, পাবনা সদর, বেড়া, গাইবান্ধা সদর, বগুড়া সদর, ব্রা²নবাড়ীয়া সদর,রাঙ্গামাটি সদর পৌরসভা নির্বাচন।

নির্বাচন

নির্বাচনী বিধি পর্যালোচনা:-

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ব্যালট পেপারের গননা এবং ভোটের ফলাফলে ব্যবহৃত ফরম পর্যালোচনা করলে কোন গরমিল থাকলে সহজেই ধরা পড়বে। বিধি মোতাবেক ভোটের আগে প্রাপ্ত ব্যালট পেপারের মোট সংখ্যার বিপরীতে ব্যবহৃত মোট পেপারের সংখ্যা উল্লেখ করতে হয়, যার মধ্যে ব্যালট বাক্স থেকে প্রাপ্ত ব্যালট টেন্ডারকৃত, আপত্তিতকৃত হারিয়ে যাওয়া, নষ্ট হওয়া ইত্যাদির যোগফল প্রাপ্ত ব্যালেটের সমান হতে হবে। অন্যাথায় বিধির ব্যত্যয় হবে, যা আইনের  মাধ্যমে চ্যালেঞ্চ করা যায়। পৌরসভার ক্ষেত্রে মেয়র এবং কাউন্সিলরদের ব্যালাটের হিসাব আলাদাভাবে দিতে হবে। বাক্স থেকে প্রাপ্ত ব্যালট পেপারের সংখ্যা, মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের সমান হতে হবে। কাজেই কোন কেন্দ্রে ৩০০টি ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হলে তা সব পদের জন্যই সমান হতে হবে। কোন পদের হার তারতম্য হলে সে ক্ষেত্রে কারচুপি হওয়ার আশংঙ্খা থাকে।

প্রিজাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর এবং এজেন্টদের প্রতিস্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই গননার কপি ব্যাগে এবং এক কপি নির্বাচন কমিশনে অবশ্যই প্রেরন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনে প্রাপ্ত ফলাফলের ফরমের সঙ্গে ব্যালট পেপারের পরিসংখ্যান এবং বৈধ ভোট খতিয়ে  দেখতে পারে। অপরদিকে একজন ভোটারের তিনটি ব্যালট গ্রহন করার  আগে প্রতিটি মুড়িতে স্বাক্ষর এবং টিপসই প্রদান বাধ্যতামুলক। মুড়িতে টিপসহি এবং স্বাক্ষর না থাকলে তা বৈধ ব্যালট বলে গন্য করা যায় না। তবে মুড়ি কেন্দ্র থেকে সিলগালা করা অবস্থায় রিটানিং অফিসে আনা হয়, যা পরবর্তী সময়ে সম্ভাব্য মামলার আলামত হিসাবে রক্ষিত থাকে, অবশ্য যদি কোন সংক্ষুব্দ ব্যক্তি আদালতে আশ্রায় নেন।

পৌরসভা নির্বাচনের ফল বিশ্লেষনঃ

৩০ ডিসেম্বর’১৫ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রেকর্ড পরিমান ভোট পেয়েছে। আর বিএনপি অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক কম ভোট  পেয়েছে।

ভোট পর্যালোচনায় দেখা যায় ৩১ টি পৌরসভায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৮০ শতাংশের বেশী ভোট পেয়েছে। এর মধ্যে ১৪টিতে পেয়েছে ৯০ শতাংশের উপরে। এগুলো সহ ২০৭টি পৌরসভায় আওয়ামীলীগ গড় ভোট পেয়েছে ৫৩.৫৪ শতাংশ, আর ২০৪টি পৌরসভায় বিএনপির প্রাপ্ত ভোটের হার ২৭.৩৬ শতাংশ। এ ছাড়া ২৮ পৌরসভায় বিএনপি ১০ শতাংশের ও কম ভোট পেয়েছে। নির্বাচন বিশ্লেষকরা এই ফলকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করেছেন। (তথ্যসূত্র- প্রথম আলো)।

গত ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪টি পৌরসভার ভোট গ্রহন করা হয়। এর মধ্যে ০৭টিতে আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় জয়লাভ করে। আর নানা অনিয়মের কারনে ২০টি পৌরসভার ফল প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ ভোটের মেয়র ভিত্তিক দলওয়ারী ফলাফলের পরিসংখ্যান বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক সরকারী দল আওয়ামী লীগ পেয়েছে ১৬৮টি, অন্যতম বৃহত্তম দল বিএনপি ২২, বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাপা ১টি  এবং অন্যান্য পেয়েছিল ২৬টি, যার মধ্যে বেশীর ভাগই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত

বিদ্রোহীরা । এই বিদ্রোহী জয়ী প্রার্থী এবং স্থগিত ২০ পৌরসভার বিজয়ীরা দলে ফিরে গেলে এবং স্থগিত পৌরসভা গুলোর নির্বাচন শেষ হলে সরকারী দলের সংখ্যা আরও বাড়বে।

এ নির্বাচনে জাতীয় সংসদের জন্য নিবন্ধিত ৪০টি দলের ২০টি দল অংশ গ্রহন করলেও তাদের দলের অবস্থান তৃনমুলে কোন পর্যায়ে রয়েছে, তার প্রমান এই নির্বাচন। এমনকি জাতীয় পার্টি ও তার ভোট  ব্যাংকের সমর্থন পায়নি, যেমন পায়নি বিএনপি ও।

(ক) অনিয়ম সমূহ সমস্যা সমূহঃ

(১) অনেক জায়গায় বুথের রুম গুলো খুব ছোট থাকায় ভোটারদের ভোট দানে অসুবিধা হয়েছে। (খ) সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য কমিশন কর্তৃক প্রনীত বিধিমালা যা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দৃষ্ঠিগোচর হওয়া উচিত ছিল, কোন কোন কেন্দ্রে তা হয় নাই। (গ) কোন কোন ব্যুথে প্রাথীর নিযুক্ত/পুলিং এজেন্টদের বাহুতে প্রার্থীর ছবি সম্মলিত পোষ্ঠার বাঁধাছিল, যা নির্বাচনী আচরণ বিধি সুস্পষ্ট লঙ্গন। (ঘ) কোন কোন কেন্দ্রের মুল প্রবেশ গেটে প্রার্থীর প্রতীক সম্বলিত পোষ্ঠার লাগানো ছিল, যা নির্বাচনী আচরন বিধির সুস্পষ্ট লংগন।

() ভোটার অংশ গ্রহণঃ

এবারের নির্বাচনে বেশীর ভাগ কেন্দ্রে জনগন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা সহকারে অংশগ্রহন করে। মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস”কর্তৃক পর্যবেক্ষনকৃত কেন্দ্র  সমুহের হিসাবে ভোটার উপস্থিতি গড়ে ৫০% ছিল। তবে স্থান ও কেন্দ্রভেদে উপস্থিতি কম বেশি হয়েছে।

() মহিলা ভোটার প্রতিবন্ধী ভোটারঃ

মহিলা ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা অতিতের সকল সময়ের চেয়ে বেশি, যা অত্যন্ত অসাব্যঞ্চক। প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভোটারদের ও উপস্থিতি অতীতের চেয়ে আসাব্যঞ্চক ছিল।

() সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অংশ গ্রহণঃ

-সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপস্থিতি ব্যাপক ছিল।

() নির্বাচন কমিশনঃ

ছবি সহ জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান বর্তমান নির্বাচন কমিশনের একটি বড় সাফল্য। নির্বাচন কমিশনকে তাদের কর্ম কান্ডে আরো স্বচ্ছ, আইন/শৃঙ্খলা বিষয়ে আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

পর্যবেক্ষক ও সংবাদ মাধ্যমকে তাদের দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আরও সহায়তা দেয়া প্রয়োজন বলে  “মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস” মনে করে।

() মাঠ প্রশাসনঃ

নির্বাচন কমিশন ও মাঠ প্রশাসনের মধ্যে যোগযোগ অতিতের চেয়ে এবার অনেক ভাল, তবে আরও বৃদ্ধি প্রয়োজন।

() প্রার্থীদের এজেন্ট:

অনেক কেন্দ্রে বিএনপি,  জাতীয় পার্টি সহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্ট দেখা যায় নি।

(খ) মানবাধিকার সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সুপারিশ সমুহ নিম্নরুপঃ

ভোট কেন্দ্রের উপযুক্ততাঃ

ভোট কেন্দ্রে সিলেকশনে যাতায়াতের রাস্তা, লাইনের জন্য খোলা জায়গা, বুথের জন্য পর্যাপ্ত রুম, বিদ্যুৎ সুবিধা সম্পন্ন বাড়ী, বুথের রুম যাতে বড় হয়, সেভাবে নির্ধারণ করতে হবে।

ভোট দান প্রক্রিয়াঃ

ভোটারদের সহায়তা দেয়ার জন্য (ভোটারদের পছন্দের প্রতীককে সীল মারা, ব্যালেট ভাঁজ করা, বুথের সন্ধান দেয়া) প্রতি বুথে একজন করে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া। এ ক্ষেত্রে স্কাউট, গার্ল গাইড, বিএনএসসিসি, সেনাবাহিনীর মত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ব্যবহার করা যেতে পারে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ

বিভিন্ন মহল থেকে পৌরসভা নির্বাচনের সময় আইন শৃংঙ্খলা ও সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আশংকার কথা পত্র পত্রিকায় ও সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করায় শুরু থেকে নির্বাচন কমিশনের যথেষ্ট তৎপরতা পরিলক্ষিত হলেও বেশ কয়েকটি পৌরসভায় রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতাদের সরাসরি প্রভাবে নির্বাচনী এলাকা এবং নির্বাচন কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা,দাঙ্গা-হামলা, সাংবাদিকদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, কেন্দ্রে থেকে প্রতিপক্ষ বিশেষ করে বিরোধী দলের এজেন্টদের বের করে দেয়া, ও ঢুকতে না দেওয়া, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের লাঞ্চিত করার মতো ঘটনায় কমিশন কয়েকটি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করেন, এতে বিভিন্ন মহল থেকে উঠে আসা মন্তব্য অনেকটারই সত্যতা মিলেছে। আগামী নির্বাচন সমূহ প্রভাব মুক্ত সুষ্ঠ ভাবে অনুষ্ঠানের জন্য আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন-

(ক) সকল নির্বাচনে আশংকাযুক্ত এলাকা সমুহে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা প্রয়োজন।

(খ) প্রতি নির্বাচনী এলাকার জন্য সেনা/র‌্যাব এর মোবাইল টীমের সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

(গ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহ সকল নির্বাচনে অবশ্যই সকল এলাকাতে নির্বাচন দিনের কমপক্ষে ৭ দিন পুর্বে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা প্রয়োজন।

(ঘ) প্রতি কেন্দ্রে শ্ঙ্খৃলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

আচরন বিধিঃ

১. মিডিয়া ও পত্রিকার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আচরন বিধি মেনে চলার আহবান উপেক্ষা করে পৌরসভা নির্বাচন প্রভাবিত করতে যে সকল প্রার্থী, রাজনৈতিক দল, দলীয় প্রভাবশালী নেতা, মন্ত্রী, এম,পি আচরণ বিধি লঙ্গন করে সরকারী গাড়ী, সার্কিট হাইজ, প্রচারমাধ্যম, সরকারী প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করছে তা বন্ধ করতে নির্বাচনী বিধিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন বলে মনে করে মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস”।  অন্যথায় আগামী নির্বাচন সমূহ প্রভাব মুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করা কঠিন হতে পারে।

২. নির্বাচন সুষ্ঠ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী, সংস্থা, প্রতিষ্ঠানকে সকল প্রকার প্রভাব/প্রলোভন, আনুগত্য পরিহার করে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন এবং ব্যাপক জবাব দিহিতার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

ভোট গণনাঃ

১.ভোট গ্রহন সম্পুর্ন হলে গণনা কাজে সময় ক্ষেপন করা উচিৎ নয়।

২.ভোট গণনা যথার্থ, নির্ভুল ও নিরপেক্ষ করার জন্য প্রার্থীদের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

ভোট কেন্দ্রের উপকরণঃ

১.            বুথে আলো এর ব্যবস্থা করা এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের বসার সুষ্ঠ ব্যবস্থা করা উচিত।

২.            ভোটারদের হাতের আঙ্গুল লেপনকারী আমোচনীয় কালী আরও উন্নত হওয়া উচিত।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পর্যবেক্ষকঃ

১.পর্যবেক্ষকদের জন্য রিটানিং অফিসার কর্তৃক কেন্দ্র সংখ্যা, কেন্দ্রের অবস্থান, প্রিজাইটিং অফিসার, আইন/শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচিত ও যোগাযোগ নাম্বার সহ একটি তথ্যকনিকা এবং কেন্দ্র থেকে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ভোটার সংখ্যা, কাষ্টিং ভোটার সংখ্যা গণনাশেষে রেজাল্ট সম্মলিত তথ্য শীট দেয়া প্রয়োজন।

২.স্বচ্ছতা, নিরোপেক্ষতা তথা সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে যথাযথ প্রতিবেদন প্রদানের জন্য প্রতি কেন্দ্রে কমপক্ষে ১জন পর্যবেক্ষক সার্বক্ষনিক অবস্থানের অনুমতি দেয়া বিশেষ প্রয়োজন।

৩.কমিশন প্রদেয় পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ফরম (ই ও-৪) কম গুরুত্বপুর্ন তথ্য বাদ দিয়ে সৌচাগার, পানিসমস্যা, ভোটদান প্রক্রিয়া, ভোট কাষ্টিং, রেটিং আইন/শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আচরন, যথার্থ নিয়মে ভোট গননা, পুলিং এজেন্টদের ভুমিকা, প্রার্থী ও প্রার্থীদের পক্ষের লোকজনের ভুমিকা, বিজয়ী পক্ষের সমর্থকদের ও বিজিত পক্ষের সমর্থকদের আচরনের চিত্র তুলে ধরার জন্য ছক সম্বলিত ফরম করলে ভালো হবে।

৪.নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষকদের সার্বিক নিরাপত্তা এবং কমিশন কর্তৃক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

. নির্বাচন ভোট প্রদানে করনীয়ঃ

জনগনকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন ও ভোট প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষনের জন্য ব্যাপক প্রচারনা প্রয়োজন , এ ক্ষেত্রে সরকারী বে-সরকারী, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করা যেতে পারে।

পৌরসভা  নির্বাচন১৫ পর্যবেক্ষণ সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনঃ

 অনেক প্রতিক্ষিত ও আকাংখিত ২৩৪টি পৌরসভা  নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার উস্থিতিতে জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়ে সবাই পূর্ব থেকে (বিভিন্ন ঝঃধশবযড়ষফবৎং বৃন্দ) উদ্বেগ জানিয়ে আসছিলেন। বিগত জাতীয় নির্বাচনসমুহেও সেনাবাহিনীকে নিয়োগ না করায় ভোটার এবং নির্বাচন প্রশাসনের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি করেছিল । সেনাবাহিনীর উপস্থিতি নির্বাচনকে সুষ্ঠ ও সুন্দর এবং অবাধ করে। পৌরসভা নির্বাচনে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে সরকার সমর্থিত কর্মী ও নেতাদের দখলে ছিল। ভোটার উপস্থিত অতীতের তুলনায় বেশী হয়। বেশ কিছু ভোট কেন্দ্রে ক্ষমতাশালীদের দ্বারা জাল ভোট প্রদান করা

হয়েছে। ভোট কেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে সংবাদিকরা ক্যামেরা নিয়ে ঢুকতে পারেনি। কিন্তু সরকার সমর্থক প্রার্থীদের কর্মীরা অবাধে ঢুকতে পেরেছে। ঢাকা জেলার সাভারের ইসলামপুর সরকারী  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ২টার দিকে সরকার সমর্থকদের সাথে প্রতিদ্ব›িদ্ব বিরোধীদের সংঘর্ষ হয় এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই এর ঘটনা ঘটে। ভোট কেন্দ্রে ব্যাপক জাল ভোট পড়েছে এবং নির্বাচন পরিচালনা কাজে নিয়োজিত মহিলা পোলিং অফিসাররা দায়িত্ব পালনে অসায়ত্বের কথা জানিয়েছেন। সাভার ও মানিকগঞ্জের পর্যবেক্ষনকৃত অনেক কেন্দ্রে বিএনপি এজেন্ট আমরা দেখিনি।  বিএনপি এজন্টে না থাকার কারন জিজ্ঞেস করলে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে অকেকগুলো মামলা হয়েছে। সম্প্রতি জামিন পেলেও তিনি  নির্বাচনী প্রচারে নামেননি। তার কর্মীরাও ভয়ভীতিতে আছেন। বিএনপির একজন কর্মীর দাবী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার সুপরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর এ সমস্যার ভয়ে কেন্দ্রের ভিতরে কিংবা বাহিরে কোথাও বিএনপির উপস্থিতি নেই বললেই চলে। পরিসংখ্যান বিশ্লেষনে ৭৪ শতাংশ ভোট বা তদুর্ধ্ব বৈধ ভোট প্রাপ্তিকে স্বভাবিক বলা যায় না। দৃশ্যত: বেশীর ভাগ ভোট কেন্দ্রে শান্ত পরিবেশ থাকলেও তথ্যে প্রকাশ যে, ব্যালট স্টাফিং হয়েছে কক্ষের ভিতরে বা ভুথের ভিতরে। তবে বিগত ৩টি নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন অনেক বেশী সুষ্ঠ ও পরিচ্ছন্ন হয়েছে। মোট কথা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সৌন্দর্য ও উন্নয়নের মুল চালিকা শক্তি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সর্বজনগ্রাহ্য একটি নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। এ জন্য আমাদের নির্বাচন কমিশন সংস্কার করা প্রয়োজন। গ্রহন যোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের দারিদ্রতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভুমিকা রাখবে বলে মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস মনে করে।

উপসংহারঃ

নির্বাচন কমিশন জাতীকে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ পৌরসভা  নির্বাচন উপহার দিতে শতভাগ আন্তরিক বলে আমরা মনে করি। সেজন্য নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই। প্রার্থী, সরকার, সরকারী দল ও বিরোধীদের সকল প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে কমিশনের যে বলিষ্ট ভুমিকা প্রয়োজন এবং কমিশন ইচ্ছা করলে তা পারে, এ নির্বাচন ই তার প্রমান। ভবিষ্যতে দেশের ইতিহাসে আরও অবাধ সুষ্ঠ  নিরপেক্ষ নির্বাচন যোগ হবে এই প্রত্যাশা দেশবাসীর এবং এই প্রত্যাশা “মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস”রও। আমরা কমিশনের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।

“মওসুস” কতৃক পর্যবেক্ষণকৃত নমুনা স্বরুপ কয়েকটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ফরম (কেন্দ্রভিত্তিক) সংযুক্ত।